দাগনভূঞায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, শশুর বাড়ির লোকজন পলাতক।

 দাগনভূঞা প্রতিনিধি->>
দাগনভূঞায় মিতু রাণী দাস ১৯) নামে এক গৃহবধুকে শশুর বাড়ীর লোকজন শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাতুভূঞা ইউনিয়নের উত্তর আলীপুর গ্রামের ধোপাবাড়ী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ওই বাড়ির আবুধাবী প্রবাসী ডালিম কুমার দাসের স্ত্রী।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্র জানায়, দাগনভূঁঞার উত্তর আলীপুর গ্রামের কিশোর কুমার দাসের ছেলে আবুধাবী প্রবাসী ডালিম কুমার দাসের সাথে প্রায় আট মাস আগে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বিরাহিমপুর গ্রামের রনজিত কুমার দাসের মেয়ে মিতু রাণী দাসের বিয়ে হয়। বিয়ের পাঁচ মাস পর স্বামী ডালিম কুমার দাস আবার আবুধাবী চলে যায়। তারপর থেকে এক দিকে দেবরের প্রতিনিয়ত কুপ্রস্তাব, অপর দিকে শশুর শাশুড়ীর নানা ধরনের মানষিক নির্যাতন চলতে থাকে ওই গৃহবধুর ওপর। এ নিয়ে মাঝে মাঝে ঝগড়া হতো। গত মঙ্গলবার বিকেলেও ছোটখাট বিষয় নিয়ে বাড়ীতে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ওই গৃহবধুকে মারধর করা হয়। এতে গৃহবধু মারা যায়। পরে তাঁর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মর্মে গৃহবধুর বাবার বাড়ীতে খবর দেওয়া হয়। বাবার বাড়ির লোকজন বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় দাগনভূঁঞা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ওই বাড়ীতে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ও ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আবু তাহের পাটোয়ারী জানায়, ময়নাতদন্তকালে ওই গৃহবধুর মাথায় ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। বুধবার দুপুরে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দাগনভূঁঞা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মনোয়ার হোসেন জানান, গৃহবধুর মা বাদী হয়ে তার শশুর, শাশুড়ী ও দেবরের বিরুদ্ধে বুধবার মামলা করেছেন। ঘটনার পর আসামীরা সবাই পলাতক রয়েছেন।

Comments

Popular posts from this blog

ফেনী মাস্টার পাড়া ছাদ থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিক নিহত

ছাগলনাইয়া দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে প্রবাসী নিহত আরও আহত হয়েছে ৩